top of page

স্মৃতির জোনাকিরা

Smritir Jonakira

 

            ফেসবুকে নিয়মিত স্মৃতিকথা লিখছি সিরিজ আকারে। গত বছর লিখেছি ‘টুকরো স্মৃতির মার্বেলগুলো’ নামের সিরিজ। এবছরের মার্চ-এপ্রিল থেকে শুরু করেছিলাম ‘পেছনে ফেলে আসি’। নামটা আমার পছন্দ হচ্ছিলো না। বন্ধু আহমাদ মাযহারের কাছে একটা নাম ধার চেয়ে কয়েক মাস অপেক্ষা করেছি। কিন্তু সে দেই দিচ্ছি করে করে দেয়নি। শেষে আমার স্ত্রী শার্লির সঙ্গে পরামর্শ করে নাম ঠিক করলাম—স্মৃতির জোনাকিরা। কিন্তু শুধু স্ত্রীর সমর্থন পেলেই তো হবে না। মাযহারের সমর্থনও তো চাই। তো মাযহার বরাবর নামটা পেশ করতেই লাফিয়ে উঠলো মাযহার—ইউরেকা। এইটাই ভাবছিলাম! ‘পেছনে ফেলে আসি’ সিরিজটি অতঃপর ১৭ নম্বর পর্বে এসে নাম পালটে ‘স্মৃতির জোনাকিরা’ হয়ে গিয়েছিলো। স্মৃতিকথা লিখতে আমার ভালো লাগে। স্মৃতি যেহেতু একটা যৌথ ব্যাপার তাই নিজের কথা লিখতে গেলে আশপাশের চেনা-অচেনা মানুষগুলোও সেখানে উপস্থিত হয় প্রবল প্রচণ্ড আধিপত্য সমেত। লিখতে গেলাম নিজেকে, কিন্তু লেখা হয়ে গেলো গুচ্ছ গুচ্ছ মানুষের গল্প। বলতে চাইলাম নিজের কথা কিন্তু বলার পরে দেখা যাচ্ছে সেটা আর আমার কথা রইলো না। সেটা হয়ে গেলো অনেকের কথা। আসলে অনেকের মধ্যেই তো ‘আমি’ আছি। আমার মধ্যেও আছেন ‘অনেকে’। স্মৃতির জোনাকিরা আমার চতুর্থ স্মৃতিগদ্য সংকলন। এর আগে যত্রতত্র কয়েক ছত্র, নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে এবং টুকরো স্মৃতির মার্বেলগুলো নামের বইগুলোও পাঠকের আদর পেয়েছিলো। আশা করছি এটাও পাবে। এই সংকলনটির মুদ্রিত আকার দিতে যাবার মুহূর্তে পুরনো ফাইল থেকে আমার সহস্তে রচিত চারটি লেখা আবিস্কৃত হলো। চারটি রচনাই ২০০৪ সালে লেখা। তখন হাতে লিখতাম। এ ফোর সাইজের শাদা কাগজে খসখস করে লিখতাম পাতার পর পাতা। সেই লেখাগুলোর ধরণ স্মৃতির জোনাকির মতোই। যে কারণে চারটি পুরনো লেখাকে পরিশীষ্টে অন্তর্ভূক্ত করেছি। পত্র-পত্রিকায় এখন আর লিখি না বললেই চলে। পাঠকের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্যে ফেসবুক-ই আমার প্রিয় মাধ্যম। এই বইয়ের ৯৯% রচনাই ফেসবুকে প্রকাশিত। স্মৃতির জোনাকিরা-র অনিন্দ্যসুন্দর প্রচ্ছদপট নির্মাণ করেছে ঋষী ধ্রুব এষ। প্রকাশক কথাপ্রকাশ। 

 

 - লুৎফর রহমান রিটন 

    ঢাকা, ২৫ জানুয়ারি ২০১৫ 

 

 

SOME OF RITON'S BOOKS
bottom of page